ব‍্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে জলমগ্ন এলাকা : আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে মহকুমাশাসক

31st July 2021 4:39 pm বর্ধমান
ব‍্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে জলমগ্ন এলাকা : আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে মহকুমাশাসক


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : শনিবার সকাল থেকে দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজ থেকে প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার ফলে দামোদর নদের জল ঢুকতে শুরু করে। কাঁকসার সিলামপুর ও আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ির ভিতরে ঢোকা শুরু হয়েছে দামোদর নদের জল ।স্থানীয়রা জানিয়েছেন ইতিমধ্যে যে পরিমাণে জল ঢুকেছে তাতে এলাকার সব মানুষ অন্যত্র সরে যাওয়ার ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছেন। গত দুদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে  শনিবার সকালে জল ছাড়া হয়। যার জেরে কাঁকসার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় স্কুলগুলিতে এলাকাবাসীকে সরিয়ে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। দামোদরের জল বাড়ায় দামোদরের তীরবর্তী অঞ্চলে চাষের জমি জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের।
খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শনে আসেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শেখর কুমার চৌধুরী ও আকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। কাঁকসার যে সমস্ত এলাকা গুলির বাড়িতে ইতিমধ্যে বাড়ির ভেতর জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাঁকসার সিলাম পুর হাই স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিন এলাকা পরিদর্শন করার পর সিলামপুর হাই স্কুল পরিদর্শন করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। স্কুলের দরজায় তালা লাগানো থাকায় দীর্ঘক্ষন স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় মহকুমা শাসক কে। পরে পাঁচিল টপকে বিদ্যালয় এর ভেতরে ঢোকেন মহকুমা শাসক। স্কুলে ফ্রান্স শিবির করে এলাকার মানুষকে থাকার ব্যবস্থা করা যাবে কিনা সেই বিষয়ে তিনি খতিয়ে দেখেন। ফের পাঁচিল টপকে তিনি স্কুলের বাইরে আছেন। স্কুল সংলগ্ন এলাকা তে রয়েছে সিলামপুর কমিউনিটি সেন্টার সেখানেও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের এবং কাঁকসার ভিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য কে।
মহকুমা শাসক জানিয়েছেন পাঞ্চেত ও মাইথন ড্যাম থেকে জল ছাড়ার ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে যে পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে তাতে প্রায় বিপদ সীমার মধ্যেই রয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকা। তাই কোন রকম ঝুঁকি না নিয়ে সমস্ত বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।